সাংসদপুত্র আরো দুদিনের রিমান্ডে
ইস্কাটনের জোড়া খুনের মামলায় জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে ফের দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক দীপক চন্দ্র দাশ রনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন বিচারক আংশিক রিমান্ড শুনানি শেষে মামলার প্রয়োজনীয় নথিসহ (সিডি) উপস্থাপন করে শুনানির জন্য নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া ওই দিন রনির পক্ষে আইনজীবী কাজী নজিবউল্লাহ হিরু রনির রিমান্ড আবেদন নাকচ চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন নাকচ করে দিয়ে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে এ মামলায় রনিকে মোট তিন দফায় ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়া হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) মাহমুদুর রহমান।
গত ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে যানজটে পড়ে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম ও ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।
নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় মামলা করেন।
গত ৩১ মে ওই গাড়ির চালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ১ জুন ইমরান আদালতে দায় স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ইমরান স্বীকারোক্তিতে ঘটনার বর্ণনা দিলে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। পরে রনিকে চার দিনের হেফাজতে পাঠান আদালত। কিন্তু রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। গত ১৬ জুন বখতিয়ার আলম রনি জামিন চাইলে মহানগর হাকিম আমিনুল ইসলাম তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
এ ছাড়া ঘটনার সময় রনির সঙ্গে থাকা বন্ধু কামাল মাহমুদ, টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর আদালতে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন।