তিন জেলায় নিহত ৩৯, নিখোঁজ ২ সেনা : ত্রাণমন্ত্রী
রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৩৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য। তাঁদের মধ্যে আছেন একজন মেজর, একজন ক্যাপ্টেন, একজন করপোরাল ও একজন সৈনিক।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ ছাড়া নিখোঁজ আছেন দুই সেনা সদস্য। তাঁদের এখনো উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা এখনো মাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
ত্রাণমন্ত্রী জানান, অতিবৃষ্টিতে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে হতাহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ৫০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল এবং সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি হিসেবে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গাছচাপা, দেয়ালচাপা ও বজ্রপাতে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে চার সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যসহ ২৯ জন, চট্টগ্রামে আটজন এবং বান্দরবানে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার এটি বাংলাদেশের উপকূল ও স্থলভাগ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। অনেক স্থানে বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌযান চলাচল।