মশা জঙ্গিদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মশা জঙ্গিদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘জঙ্গি দমন করতে পারলে আমরা মশাও দমন করতে পারব।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চিকুনগুনিয়া রোগসংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ সময় চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব নির্মূলে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে রোগটির নাম শোনা যায়নি। তথ্য-উপাত্তে বেরিয়ে এসেছে যে, এডিস মশা থেকে চিকুনগুনিয়া রোগের আবির্ভাব। এই রোগটির প্রাদুর্ভাব আর চার থেকে ছয় সপ্তাহ থাকবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, চিকুনগুনিয়া ভারত ও পাকিস্তানে মহামারী আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশেও রোগটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই রোগটির জন্য মশা নিধনসহ বিভিন্ন কারণে সিটি করপোরেশনের সমালোচনা করছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এই সমালোচনাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। মশক নিধনের বিষয়ে মশক নিবারণ নামে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তর আছে। সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অনেক বয়স হয়ে গেছে। মেশিন বহন করতে পারছেন না। তা ছাড়া লোকবলেরও সংকট রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বয়স্ক লোকদের ছাঁটাই করে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করব। ওই অধিদপ্তর থেকে আমাদের পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম চলছে, আপনাদের চোখে না পড়লেও চলছে।’
এ সময় জনগণকে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানান সাঈদ খোকন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম খান নিজের চিকুনগুনিয়া রোগের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আমার পরিবারও এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগটা যে কত ভয়াবহ সে অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। আমরা ছোটবেলায় জার্মানির মেয়রের কথা শুনি প্রথম। ইঁদুরের উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য শহরের নাগরিকরা মেয়রের কাছে ধরনা দিয়েছিল। মেয়রের কৌশল সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এখন আমরা মশার হাত থেকে বাঁচার জন্য ঢাকার মেয়রদের কাছে অনুরোধ করছি।’
সবার সম্মিলিত চেষ্টায় নগরী মশামুক্ত হবে এবং নাগরিকরা চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত থাকবে বলে আশা করেন সচিব।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রজেক্টরের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। সেখানে দেখানো হয়, রোগটি এখন নিম্নমুখী।