খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিমুল আজমের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড, সাম্প্রদায়িক উসকানি এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার খাদ্য বিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসব অভিযোগ খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনার রশীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিমুল আজম এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়, খুলনার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিমুল আজম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডি খোলার পর থেকেই বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন অপকর্মের লিপ্ত রয়েছেন। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তিনি লাইক দিয়েছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের চোর এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে নির্বাচিত এমপিদের জারজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ছাড়া তিনি পুলিশের কর্মকাণ্ডকে বিভ্রান্তিমূলক এবং হেফাজতের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন খাদ্য কর্মকর্তাদের বারবার অবহিত করেও কোনো ফল হয়নি। খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নুরুল ইসলাম তাঁকে প্রায় সব সময় রক্ষা করে চলেছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিমুল আজম বলেন, ‘আমি ফেসবুক তেমন ব্যবহার করি না। আমার আইডি হ্যাক করেই এ ধরনের কাজ করা হয়েছে।’
তবে কবে সর্বশেষ ফেসবুক ব্যবহার করেছেন এবং কবে তাঁর আইডি হ্যাক করা হয়েছে তা বলতে সেলিমুল আজম অপারগতা প্রকাশ করেন।
খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সেলিমুল আজমের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
তবে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
খাদ্য বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) বদরুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মো. সেলিমুল আজমের বিরুদ্ধে একটা ফাইল পেয়েছি। মঙ্গলবার খাদ্য বিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’