যত বড় মাদক ব্যবসায়ী হোক, কাউকে ছাড়ব না
মাদক ব্যবসায়ীরা যত বড় বা প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী যত বড় শিল্পপতি হোক, কিংবা বড় ব্যবসায়ী হোক, কিংবা সে বড় রাজনীতিবিদ হোক কিংবা সমাজের উচ্চস্তরে বসে থাকুক না কেন আমরা কাউকে ছাড় দেব না।
আজ রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ টাউনহল মিলনায়তনে বিভাগীয় মাদক বিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদকের নেশায় আমাদের যুবসমাজ পথ হারাচ্ছে, যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করছি। ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যাব এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হব। আমরা যদি সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি। সেজন্যই সর্বাত্মকভাবে দেশকে মাদকমুক্ত করার প্রায়াস চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদক আসে। ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ফেনসিডিল আসাটা আমরা কমিয়ে ফেলছি। তারা ওয়াদা করেছে, সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিলের কারাখানা তারা বন্ধ করে দেবে। তারা সহযোগিতা করছে। ভারতের বিএসএফ এবং আমাদের বিজিবির মধ্যে সুন্দর বোঝাপড়া রয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ মিয়ানমার। সেখানে থেকে ইয়াবার বিস্তার হয়েছে। ইয়াবা আমাদের যুব সমাজের কাছে ভয়ংকর নেশা।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন: কোকেন, হেরোইন, ইয়াবা আইটেম। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। সব চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও কোথায় যেন আমাদের শক্ত গেরোটা ফসকে যাচ্ছে। সে জন্য জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় আমরা কাজ করছি। এ পথে যারা যাবে তাদের মেধা বিনষ্ট হবে, আমরা বাংলাদেশকে হারাব, ভবিষৎ প্রজন্মকে হারাব।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মামলাটি উচ্চ আদালতে আছে, এটা আমাদের ওয়াদা আছে। সাগর-রুনীর ব্যাপারটা হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব বাহিনী কাজ করছে। আমি আশাবাদী র্যাব বাহিনী একটা সিদ্ধান্ত দিতে পারবে।’
একই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।
ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ময়মনসিংহ থেকে বেনাপোল ও কক্সবাজার রুটে চলাচলের জন্য শামীম এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের দুটি এসি বাসের উদ্বোধন করেন। ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনসে পুলিশ ব্যারাক ২-এর ভিত্তি স্থাপন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। শেষে পুনর্বাসিত মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের হাতে সেলাই মেশিন ও রিকশা তুলে দেন।