লামায় পাহাড়ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬
অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানের লামায় পাহাড়ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ৫টা ১০ মিনিটে সর্বশেষ ফাতেমা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর পরই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
urgentPhoto
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ফাতেমার বাবা ষাটোর্ধ্ব বশির আহমেদের লাশ উদ্ধার করা হয়। আর দুপুরে উদ্ধার করা হয় আরো চারটি লাশ।
জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরাফাত (১৮) ও দেলু মিয়াকে (৭০)। গুরুতর অবস্থায় মোহাম্মদ আরাফাতকে (১৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারের মালুমঘাট খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এনটিভি অনলাইনকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন লামার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদ মাহমুদ। তিনি জানান, দেলু মিয়া লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে জানাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানাজা শেষে দাফনের সম্পন্ন হবে।
পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, অবিরাম বর্ষণে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে লামা পৌর এলাকার হাসপাতালপাড়া এলাকায় বিকট শব্দে পাহাড়ধসে চারটি পরিবারের লোকজন মাটির নিচে চাপা পড়ে। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
দুপুরের পর অভিযানে নামেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে রোজিনা আক্তার (৩০), তাঁর ছেলেশিশু মো. সাজ্জাদ (৪), আমেনা বেগম (৩০), সাগের আহম্মদের (১৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে উদ্ধার করা হয় বশির আহম্মদ ও তাঁর মেয়ে ফাতেমার লাশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন লামার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদ মাহমুদ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জহিরুল ইসলাম, কাজী মুজিবুর রহমান, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, পৌর মেয়র আমির হোসেনসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
লামা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রবিউল জানান, পাহাড়ের বড় একটি অংশ ধসের কারণে মাটির পরিমাণ বেশি হওয়ায় হতাহতদের উদ্ধারে সময় লাগেছে।