ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার ঘোষণার প্রস্তাব
ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকার ঘোষণার বৈশ্বিক চুক্তির প্রস্তাব করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ডিজিটাল বিশ্বকে নিরাপদ ও জনমুখী রাখতে জাতিসংঘের দ্বাদশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামে (আইজিএফ) তথ্যমন্ত্রী চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেনেভার জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ভবিষ্যৎ ডিজিটাল বিশ্বের রূপরেখা’ শিরোনামে মূল আলোচনা সভার প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।
তথ্যমন্ত্রী নিরাপদ সাইবারস্পেস, জাতিসংঘের অধীনে ডিজিটাল অর্থনীতির কাঠামো, ইন্টারনেটকে মৌলিক মানবাধিকারের ঘোষণা এবং জাতিসংঘের অধীনে ইন্টারনেটের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা -এ চারটি চুক্তির প্রস্তাবের সাথে উন্নয়নকামী দেশগুলোর মানুষের ইন্টারনেটপ্রাপ্তি ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আরো সাতটি কর্মপরিকল্পনাও পেশ করেন। সাত কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ডিজিটাল সংযোগবঞ্চিতদের সংযোগের মধ্যে আনা, মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি, শিক্ষাপদ্ধতি সংস্কার, ডিজিটাল কাঠামো তৈরিতে আরো সরকারি উদ্যোগ, ই-ব্যবসায় আন্তদেশীয় বাধা দূর করা, টেকসই উন্নয়ন সহায়ক ডিজিটাইজেশন এবং সবার জন্য সুলভ নিরাপদ ইন্টারনেট।
হাসানুল হক ইনু এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে দেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘১৬০ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে এখন ১৩০ মিলিয়ন মোবাইল ও ৮০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ ২২ হাজারের বেশি মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল ল্যাব রয়েছে, মাধ্যমিক স্কুল থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যয়ন বাধ্যতামূলক।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাইজেশনের ফলে জনগণ ও সরকার আরো কাছাকছি আসছে এবং আস্থা বাড়ছে, দুর্নীতি কমছে, অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের দ্রুত বিকাশ ঘটছে ও মানুষের সক্ষমতা বাড়ছে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানে লেখা অধিকার জীবনের পাতায় আনতে সহায়ক এই ডিজিটাইজেশনকে নিরাপদ ও টেকসই করার জন্য বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বিশ্বের প্রায় দেড় শতাধিক দেশের এক হাজার প্রতিনিধি এ ফোরামে অংশ নিচ্ছে। জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান, বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মহাসচিব মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মন্ত্রীর সঙ্গে ফোরামে যোগ দেন।