লতিফ সিদ্দিকীর রিটের আদেশ আগামীকাল
সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের শুনানি আজ বুধবার শেষ হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করে।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অংশ নেন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর গত ১৩ জুলাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে ২ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাব পাঠান লতিফ সিদ্দিকী। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে শুনানি করতে নির্বাচন কমিশনের কোনো এখতিয়ার নেই। কেননা তিনি এখনো আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করলেও তিনি নিজে দল থেকে পদত্যাগ বা অবসর নেননি। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেননি তাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন হয়নি।
পরে ৯ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে পাঠানো অপর একটি চিঠি পাঠানো হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। যেখানে বলা হয়, ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে তাঁর সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তাঁকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও স্থগিত করতে গত রোববার হাইকোর্টে রিট করেন লতিফ সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী নিজে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেননি। বরং তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তিনি যদি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট না দেন অথবা নিজে দল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার না করেন, তাহলে সংবিধানের ৬৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। তাই রিটে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি আওয়ামী লীগের চিঠির ভিত্তিতে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশন কোনো শুনানি করার কোনো ক্ষমতা নেই।’
আইনজীবী বলেন, ১৯৮০ সালের সংসদ সদস্য (মেম্বার অব পার্লামেন্ট) আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনো অভিযোগ এলে তারা প্রথমে সিদ্ধান্ত নেবে এ বিষয়ে শুনানি করার তাদের কোনো এখতিয়ার আছে কি না। এ বিষয়ে শুনানির জন্য তারা যাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তাঁকে চিঠি দিয়ে শুনানি করতে বলবে। কিন্তু বর্তমান ইসি এ বিষয়ে কোনো শুনানি না করে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে শুনানি করতে সরাসরি চিঠি দিয়েছে। আগামী ২৩ আগস্ট এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।