নৌমন্ত্রীর বাধায় কাজ হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উপযুক্ত বিচারের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি আরো বলেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বাধা দেওয়ার যে প্রসঙ্গটা এসেছে সেই বাধায় কোনো কাজ হবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত ছাত্রী দিয়া খানম মীমের বাড়িতে যান। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘তার (চালক) লাইসেন্স আছে কি না। সবকিছুই আমরা দেখব। কারণ এখানে প্রশ্ন আসছে, যে এরা শুধু অদক্ষ না, লাইসেন্সবিহীনও, এরা চালাচ্ছে। এই সব আমরা দেখব এবং এটার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হবে। উপযুক্ত বিচার এবং উপযুক্ত শাস্তি তারা পাবে। মাননীয় মন্ত্রী শাজাহান খান সাহেব, তিনিও আমাদের সরকারের একটা পার্ট। তিনি বাধা দেবেন বলে যে প্রসঙ্গটা আসছে, কথাটা আসছে, সেগুলো আমার মনে হয়, এই বাধায় কোনো কাজ হবে না। কিংবা এই ইসের মধ্যে কোনো কাজ হবে না। উপযুক্ত বিচার হবেই।’
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার এয়ারপোর্ট রোডে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো চারজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।
ঘটনার পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। এরপর গত তিন দিন টানা অবরোধ করে যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া এই বিচারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে কয়েকটি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অভিযুক্ত চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এর পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক থেকে চলে যায় শিক্ষার্থীরা।
তবে একই ঘটনার প্রতিবাদে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করতে চাইলে পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
এদিকে, দুপুরে কাকরাইল মোড়েও প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানেও বেশ কিছু সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। লিখিত বক্তব্যে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘সে শুধু হেসেই থেমে যায় নাই। অন্য একটা দেশের উদাহরণ দিয়ে এড়িয়ে যায়। বিচার শুরু হলে হয়তো সেই নেতার কথায় বাস মালিকরাও ধর্মঘট করবে। তাদের সাজাও কমানো হবে। হে মমত্বময়ী মা, এটা যেন আমাদের সঙ্গে না হয় একটু খেয়াল রাখবেন।’