২,৬০০ টাকা দিয়ে চাপাতি ও ছোরা কেনেন অনিক
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভনকে হত্যার আগে কামার মানিকের (৪৬) দোকান থেকে আসামি মাকসুদুল হাসান অনিক দুই হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে দুটি চাপাতি ও চারটি ছোরা কিনেছিলেন।
আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে সাক্ষী মানিক সাক্ষ্য দিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন। এমনকি উদ্ধার করা চাপাতি ও ছোরা তাঁর দোকান থেকে খরিদ করা এবং সেগুলো আজ আদালতে শনাক্ত করেছেন সাক্ষী মানিক।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী মো. ফয়সাল ভূঁইয়া অনি এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কামার মানিক অভিযোগপত্রভুক্ত সাক্ষী। তাঁর দোকান থেকে আসামি মাকসুদুল হাসান চাপাতি ও ছোরা কিনেছেন। কামার মানিক আসামি মাকসুদুল হাসানকেও শনাক্ত করেছেন।
ফয়সাল ভূঁইয়া অনি আরো বলেন, ‘আসামি রিমান্ডে থাকার সময় পুলিশের কাছে হত্যার তথ্য দেন। ওই সময় চাপাতি ও ছোরা কোথায় আছে সে বিষয়ে তথ্য দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করেন। আজ আমরা এ অস্ত্রগুলো আদালতে আনার জন্য রিকুইজেশন দিলে পুলিশ তা আদালতে হাজির করে এবং কামার মানিক তা নিজের দোকান থেকে কেনা বলে জানান।’
পরবর্তীতে বিচারক তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেছেন।
এ নিয়ে রাজীব হত্যা মামলায় ৫৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ও কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।