জয়পুরহাটে প্রশ্নপত্র ফাঁস, পিয়নসহ দুজন গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আজ সোমবার আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের পিয়ন আবদুল মান্নান (৩৩) ও জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আয়মা রসুলপুর গ্রামের মামুন (৩৮)। পিয়ন আবদুল মান্নানের বাড়িও পাঁচবিবিতে। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা মাহবুব রায়হানের দেওয়া তথ্যানুসারে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার কাদোয়ায় নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে একই উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের করমজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুব রায়হানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছ থেকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসে। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে জয়পুরহাট শহর ও পাঁচবিবি থেকে মামুন ও পিয়ন আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার গ্রেপ্তার করা হয়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৮ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে পুলিশ জয়পুরহাট শহরের হাজি বদর উদ্দিন সড়ক এলাকার প্রফেসরপাড়ার ওয়াহেদ আলীর ভাড়া বাসায় আকস্মিক অভিযান চালায়। সেখানে পরীক্ষার উত্তর লেখার সময় পরীক্ষার কেন্দ্র (হল) থেকে বের হয়ে আসা (ফাঁস হওয়া) প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, মোবাইল ফোনসেট ইত্যাদিসহ কবীর হোসেন ও আবু কাহারকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ চক্রের অন্যতম সদস্য জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামকে (২৮) ঢাকার কলাবাগান থানা পুলিশের সহযোগিতায় কলাবাগান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জয়পুরহাট আনা হয়। পরে আমিনুলের দেওয়া তথ্যানুসারে রোববার এ চক্রের মূলহোতা মাহবুব রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মান্নান ও মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত)ও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলার তদন্ত কর্মকতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তাঁদের সম্পর্কে আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’