সংলাপ আশাবাদের দিকে যাচ্ছে : বি চৌধুরী
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের আটটি রাজনৈতিক দল। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ সংলাপ হয়।
আলোচনায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান ও সরকারের ক্ষমতা সীমিত করাসহ সাতটি দাবি উত্থাপন করে যুক্তফ্রন্ট।
তবে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট।
সংলাপ শেষে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘সংলাপ আন্তরিকভাবে হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়। সংলাপের ফলাফল, সরকারের কথা যদি সরকার রাখে তাহলে এটা আশাবাদের দিকেই যাচ্ছে।’
‘যদি সরকারকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ করা যায়, নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি প্রেসিডেন্টের অধীনে চলে যায় এবং সরকার তাদের ওপর কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ না করে, তাহলে অবশ্যই একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে।’
‘এগুলোসহ আমদের অন্য দাবিগুলো গ্রহণ করলে তারপর আমরা নির্বাচনে যেতে পারি, আমরা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব’, নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার অংশগ্রহণ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বি চৌধুরীর এমনটি বলেন।
বি চৌধুরী আরো বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে সরকারের ক্ষমতা সীমিত করার পাশাপাশি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে যুক্তফ্রন্টের দাবির বিষয়ে একমত হয়েছে তারা।’
সেইসঙ্গে রাজনৈতিকভাবে আটক নেতাকর্মীদেরও ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বলে জানান বিকল্প ধারার সভাপতি।
যুক্তফ্রন্টের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর আর কোনো প্রকল্প উদ্বোধন না করা এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা। এসব দাবি সরকারের কাছে যৌক্তিক বলে মনে হয়েছে বলে জানান বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট। তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকারের ব্যাপারে তাঁরা একমত হননি। এতে তাঁরা নো বলেছেন। আমরা বলেছিলাম ইয়েস, নির্বাচনকালীন সরকারের ক্ষমতা সম্পূর্ণ সীমিত করতে হবে। আমরা এখন থেকে সেটি দেখব।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘যখনই শিডিউল ঘোষণা করা হবে, তখন থেকে নির্বাচন হবে প্রেসিডেন্টের অধীনে। সরকারের অধীনে থাকবে না। নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। এবং সরকার সেখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব বা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না এবং নীতিগতভাবে এটা সরকার মেনে নিয়েছে।’
তবে ইভিএম ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কিছু না বললেও বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপ করবেন বলেও জানান বদরুদ্দোজা চৌধুরী।