থার্টিফাস্ট উদযাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সে রাতে উন্মুক্ত স্থানের পাশাপাশি বাসা-বাড়ির ছাদেও কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। কেউ চাইলে একান্ত ঘরোয়াভাবে বাড়ির ভেতরে অনুষ্ঠান করতে পারবে। সব ধরনের ডিজে পার্টি বন্ধ থাকবে। খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের জন্য বড় দিনের অনুষ্ঠানে আতশবাজিও ফোটানো যাবে না।
থার্টিফাস্ট নাইট ও বড়দিন উপলক্ষে আয়োজিত সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আজ রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা জানান। একই সঙ্গে থার্টিফাস্ট নাইটে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো এবং বেলুন ও ফানুস ওড়ানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ার কারণে দিনটি উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফাইভ স্টার ও আন্তর্জাতিকমানের হোটেল ছাড়া সব ধরনের বার বন্ধ রাখার পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বড় দিন উপলক্ষে দেশের সাড়ে তিন হাজার চার্চের বিশেষ নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে অন্যান্য অনুষ্ঠানের কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। এ কারণেই আমরা থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠান না করার জন্য সবাইকে নিরুৎসাহিত করছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে পরের দিন ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত ফাইভ স্টার ও আন্তর্জাতিক হোটেলগুলো ছাড়া সব বার বন্ধ থাকবে। থার্টিফাস্ট নাইটে কোনো বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর দিন ও রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে সব চার্চে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড়দিনেও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।