হামলায় ভীত নই, নির্বাচন থেকে পিছু হটব না
বিএনপি মহাসচিবসহ সারাদেশে নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীনদের ছত্র-ছায়ায় হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, এসব হামলায় তাদের জোট ভীত নয়, ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার পর সাধারণ জনগণ যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সারাদেশে ঠিক একইভাবে দেশবাসী প্রতিরোধ গড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকার সব আসনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সারাদেশে বিএনপির গণজোয়ারে ক্ষমতাসীনরা ভীত উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, পুলিশের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা করলেও নির্বাচন থেকে পিছু হটবে না বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এত অত্যাচার-অনাচার, এত গুম-খুন, এত দুর্নীতি তারা করেছে যে তারা ক্ষমতা হারাতে ভয় পায়। আর সেজন্য ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখার জন্য তারা এসব করছে। এবং তারা আশা করছে এসব করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে সরাইয়া দেওয়া যায় কিনা। যাতে কইরা আবার ২০১৪ সালের মতো জনগণের সমর্থন ছাড়াই ক্ষমতায় আসীন হতে পারে।
আমাদের মহাসচিবের বহরে আক্রমণ করার পরে যা হয়েছে আমরা সারা দেশে সেটা করার চেষ্টা করব। জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আমরা আশা করছি, সারা দেশেই এটা ঘটবে।’
এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজয়নগরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সভাটি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক বরকত উল্লাহ বুলু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মো. নুরুল হদা, জেএসডির মোশারফ হোসেন, এম এ ইউসুফ, মো. আবদুল খালেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, মাহাবুব হেলাল, এল কে চৌধুরী, রাজু আহমেদ খান, আজমেরি ছন্দা, মনিরুল হক মনি প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁর গাড়িবহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান তাঁর কর্মীদের নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধার সৃষ্টি করছে এবং পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, এভাবে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরা কিভাবে নির্বাচন করব? আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে, কিন্তু বাস্তবে তারা পক্ষপাতিত্ব করছে। আমি বলতে চাই, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তারাই পরাজিত হয়েছে। পাকিস্তানিরাও এদেশে পরাজিত হয়েছিল। আমরা বলব, গণতান্ত্রিক আচরণ করুন। অত্যাচারী হবেন না। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে দিন। এত উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয় কিসের। আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি জনগণ আপনাদের সঙ্গে নাই। আমরা যদি নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারি তাহলে আমাদের বিজয় নিশ্চিত ইনশা আল্লাহ।