‘স্বল্প সময়ে’ পরীক্ষার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ডিআরইউ সদস্যদের কৃতী সন্তানদের জন্য সংগঠনটি এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে এসএসসির ১৭ জন, ও লেভেলের দুজন এবং এইচএসসির ১২ জন কৃতী শিক্ষার্থীর হাতে তিন হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা এক দেড় মাস ধরে চলতে থাকায় প্রশ্নপত্র পাহারা দেওয়া কষ্টসাধ্য বিষয়। তাই আমি পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের পক্ষে। আমাদের এমন পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে অতি স্বল্প সময়ে পরীক্ষা শেষ করা যায়।’
এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। ৫৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজস্ব ক্যাম্পাস করার জন্য বলা হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে গেছে।’
শিক্ষামন্ত্রী আজকের শিক্ষার্থীদের আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বমানে উন্নীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
‘শিক্ষকরা দেশের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। তাঁরা আমাদের শিক্ষা পরিবারের মূল নিয়ামক শক্তি। শিক্ষকদের অসন্তুষ্ট রেখে শিক্ষা খাতে উন্নতি সম্ভব নয়। নতুন পে-স্কেল নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজমান অসন্তোষকে বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। এর সমাধানে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কাজেই শিক্ষকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষা খাতের বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের কিছু ত্রুটি রয়েছে। সেটা অস্বীকার করছি না। সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের শিক্ষাপরিবার কাজ করে যাচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে সবাই মিলে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন কারিগরি শিক্ষার দিকে যাচ্ছে। শুধু জ্ঞানার্জন করলে হবে না। শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক আরিফুর রহমান।
এতে সংগঠনের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, অভিভাবকদের মধ্যে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, দৈনিক যুগান্তরের ডেপুটি এডিটর এহসানুল হক বাবু ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কল্যাণ সম্পাদক শাহনাজ শারমিন।