জাপানি নাগরিক হত্যার ঘটনায় মামলা
রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যার ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।urgentPhoto
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি রেজাউল করিম বলেন, মামলায় গতকাল শনিবারের তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত তিনজনকে।
এদিকে, হত্যার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হোশি কুনিওর লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা আছে।
এর আগে গতকাল রাত ১২টার দিকে জাপান দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল ও রাজশাহী থেকে আসা পুলিশের অপরাধ তদ্ন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক টিম হোশি কুনিওর লাশের সুরতহাল করে। একই সঙ্গে তাঁর শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মাহিগঞ্জ আলুটারীতে প্রকাশ্যে একটি মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক খুব কাছ থেকে গুলি করে হোশি কুনিওকে হত্যা করে।
হত্যাকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতের রগ কাটার পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। হোশি কুনিওর বুকে, পাঁজরে ও হাতে তিনটি গুলি লেগেছে বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, এক বছরের ভিসা নিয়ে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় জমি লিজ নিয়ে ঘাসের বীজসহ বিভিন্ন বীজ উৎপাদন করে আসছিলেন।
এদিকে, হোশি কুনিওর হত্যারহস্য উদঘাটন করতে ঢাকা থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। র্যাবের তদন্ত শাখার পরিচালক কর্নেল আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে র্যাবের দলটি সকাল ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ঘটনাস্থল, আশপাশের এলাকা, হোশি কুনিওর ঘাসের খামার, হত্যাকারীরা যে রাস্তা দিয়ে পালিয়ে গেছে সেসব এলাকা পরিদর্শন করে। তাঁরা সেসব স্থান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। তবে সেখানে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে র্যাবের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কোনো কথা বলেননি।