মুজাহিদের সঙ্গে পরিবারের সাক্ষাৎ
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে তাঁরা মুজাহিদের সঙ্গে দেখা করতে কারা অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
কারাগারে বাবার সঙ্গে দেখা করে এসে আলী আহমেদ মাবরুর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের ২৮ মিনিট কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই সময়ে আমরা পারিবারিক বিষয় নিয়ে উনার সঙ্গে আলাপ করেছি। রায়ের বিষয়ে তিনি বলেছেন, পূর্ণাঙ্গ রায়টি তিনি পড়ছেন এবং এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ রিভিউসহ অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
মাবরুর জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর মা, এক বোন ও অপর দুই ভাই। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর মায়ের সঙ্গে মুজাহিদ অল্প কিছু সময় একান্তে কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় মুজাহিদের আইনজীবীরা জানান, স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ পরিবারের পাঁচ সদস্য তাঁর সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গেছেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের পরিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়ার পর কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কারাগারে ঢোকার আগে মুজাহিদের ছোট ছেলে আহমেদ মাবরুর বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের পাঁচজনকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে। বেলা ১১টায় আমরা আব্বুর সঙ্গে দেখা করব।’
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ের বিরুদ্ধে মুজাহিদের আইনজীবীরা আপিল করলে সর্বোচ্চ আদালত ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ তা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে রিভিউ আবেদনের জন্য ১৫ দিন সময় পেয়েছেন মুজাহিদ।