‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারলে, সবাই তাঁর কাছে ফিরে যাব’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আন্দোলন জোরদার করে আমাদের ‘মা’ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। আর যদি মাকে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আমারা সবাই মায়ের কাছে ফিরে যাব।
আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের শহীদ হানিফ খান মিলনায়তনে জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম ও দলের সদস্য ইব্রাহীমের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এসব কথা বলেন।
স্মরণসভা কমিটির আহ্বায়ক মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামসহ অন্য নেতারা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, নয় বছর এরশাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। এখন ১২ বছর ধরে নিষ্ঠুর সরকারের অধীনে দেশ চলছে। একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর চিকিৎসা হয় বারডেম হাসপাতালে, আর তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা ও এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষের জন্য ভালো প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।
নজরুল ইসলাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কী চাচ্ছে? সরকার কি খালেদা জিয়ার অপমৃত্যু চাচ্ছে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী এক-এগারোর সময় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। জেলখানায় আবদ্ধ থেকেও প্রাইভেট স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা পেয়েছেন, এমন অসংখ্য দৃষ্টান্ত দেওয়া যাবে।
এ সময় গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে খালেদা জিয়া ছাড়া বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, পাঁচটি নির্বাচনে ২৩টি আসনে নির্বাচন করা সম্ভব ছিল, ২৩টিতে নির্বাচন করে সবকটিতেই জিতেছেন খালেদা জিয়া। এই রেকর্ড বাংলাদেশে আর কারো নাই। মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং এই দেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের স্ত্রী যিনি তাঁকে আজ কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে, বিএনপি আন্দোলনে সফল হলে, আবার ক্ষমতায় এলে আপনারা অনেকেই অনেক কিছু হবেন না। কিন্তু আমি হয়তো মন্ত্রী হয়ে যাব, কাজেই প্রয়োজনটাও তো আমার বেশি বিএনপি যেন বিজয়ী হয়।
‘কঠোর আন্দোলনের মুখে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব, নয়তো আমরা সবাই তাঁর কাছে ফিরে যাব। এমন একটা কর্মসূচি নেন না, এ রকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলুন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি সবাই।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই মুমূর্ষু গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য কঠোর আন্দোলন দরকার। দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে খালেদা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আন্দোলনের ফলস্বরুপ আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। তারপর পাঁচ বছর আওয়ামী লীগের সরকার। পরে আমরা আবার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলাম। তারপর দীর্ঘ ১২ বছর আমরা অত্যাচারী সরকারের অধীনে রয়েছি।