বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না বলেই শপথ নেয় না : হানিফ
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বিএনপি আসলে জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে না। এ জন্যই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন না।
আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের সব জেলা ও মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বিগত নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে বিএনপির ভূমিকার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের যাদের নির্বাচন করেছে, তাদের জনগণের প্রতি দায় থেকে আপনাদের সংসদে যাওয়া উচিত।’
‘মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবেন আর জনগণ যে আপনাদের ভোট দিল, তার প্রতি আপনাদের কোনো শ্রদ্ধা নাই, দায়বদ্ধতা নাই। এ ধরনের মিথ্যাচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,’ বলেন হানিফ।
সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। এখন সংগঠন গোছানোই দলের প্রধান কাজ।
তৃণমূল প্রসঙ্গে অভিযোগের ব্যাপারে একই রকম কথা বলেন বৈঠকে উপস্থিত অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, ‘এই যে আমরা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়াটা শেখালাম, দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এর লক্ষণটা কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে ভালো না। এবং এর ভোগান্তি আমাদের নিজেদেরই ভুগতে হবে। যারা ভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে, তারা মূল রাজনীতির জায়গাটায় কিন্তু থাকতে চায়… এবং চূড়ান্ত বিচারে তাদের সকলেরই ঐক্য এক এবং অভিন্ন, তা হলো, মূলত এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই মসৃণ চলার পথটিকে বন্ধুর করে দেওয়া।’
বৈঠকে ২০২০ সালকে ‘মুজিব-বর্ষ’ হিসেবে পালন ও দলের সব পর্যায়ের কমিটির সদস্যদের নাম সংগ্রহের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে দলটির জেলা পর্যায়ে খুব দ্রুতই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয় বৈঠকে।