ঐশীসহ তিনজনের রায় ১২ নভেম্বর
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশী রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় আগামী ১২ নভেম্বর দেবেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ দিন নির্ধারণ করেন।
urgentPhoto
ঐশীসহ তিনজনের আইনজীবী মাহবুব হাসান রানা এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ঐশী এ মামলায় খালাস পাবেন। কেননা ঐশী যে প্রাপ্তবয়স্ক তা সরকারপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। আর ঘটনার দিন সে মাদকাসক্ত ছিল। সে যে মাদকাসক্ত ছিল না সরকারপক্ষ এটিও প্রমাণ করতে পারেনি। এ ছাড়া ঐশী যে খুন করেছে কোনো সাক্ষী জবানবন্দি দিয়ে এমন ধরনের তথ্য প্রমাণ করতে সক্ষম হননি। এমনকি বাদীও মামলার এজাহারে ঐশীর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি।’ মামলার অন্য দুই আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি ও আরেক বন্ধু মিজানুর রহমান রনি।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী ফয়সাল ভূইয়া অনি বলেন, ‘এ মামলায় ঐশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ঐশীর বয়স ১৯ বছর তাও প্রমাণিত হয়েছে এবং ঘটনার দিন সে মাদকাসক্ত ছিল না। এ ছাড়া মামলার অন্যতম আসামি কাজের মেয়ে সুমিও জবানবন্দি দিয়ে বলেছে, ঐশীই তাঁর বাবা-মাকে ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ঐশীসহ সবার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’
রনি এ মামলায় জামিনে থাকলেও বিচারক আজ তাঁর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে জনি শুরু থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে আরো দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।
পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ আগাস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।