যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জানুয়ারি মাসে আইসিসি আন্ডার নাইনটিন (ইউ-১৯) বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সব অংশগ্রহণকারী, আম্পায়ার, রেফারি, কর্মকর্তা ও দর্শকদের জন্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সফররত আইসিসি নিরাপত্তা পর্যালোচনা দলকে আশ্বাস দিয়েছেন।
আইসিসি নিরাপত্তা পর্যালোচনা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী আইসিসি দলকে অবহিত করেছেন যে, যেহেতু নিরাপত্তা একটি উদ্বেগের বিষয়, তাই, বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্ডার নাইনটিন বিশ্বকাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, তারাই ভবিষ্যৎ খেলোয়াড়। তাই, বাংলাদেশ এই ইভেন্ট সফল করার জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন। টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন আইসিসি নিরাপত্তা পরামর্শক সিয়ান নোরিস ও রেগ ডিকসন এবং ইভেন্ট প্রধান ক্রিস টেটলি।
সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, আইসিসি নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখার জন্য যে কোনো ইভেন্টের আগে আয়োজক দেশ সফর করে এবং নিশ্চিত করতে চায় যে, অংশগ্রহণকারী, আম্পায়ার, রেফারি, কর্মকর্তা ও দর্শকদের জন্য এবং দর্শকবৃন্দ ও তাদের বন্ধু ও পরিবারের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোনো হুমকি বা ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সফর বাতিলের উল্লেখ করে আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, বিশেষ এই কারণেই এ দল বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বাংলাদেশে এসেছে। তিনি বলেন, এ দল এরই মধ্যে ভেন্যুগুলো পরিদর্শন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল নিরাপত্তা সংস্থা, সদস্য দেশগুলোর কয়েকটি হাইকমিশন, বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
রিচার্ডসন বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা টিম টুর্নামেন্ট চলাকালে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্বশীল সব নিরাপত্তা সংস্থা, গোয়েন্দ সংস্থা, পুলিশ, সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তা অধিকতর চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা বিশেষ কোনো স্থানে ইভেন্ট করতে পারব না। বরং এর অর্থ হচ্ছে যে, আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে হবে যাতে ঝুঁকি ও হুমকি মোকাবিলা করা যায়।’
স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থা সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে আইসিসির প্রধান নির্বাহী বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিশেষ করে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম দেখে খুবই খুশি।
এই প্রতিনিধিদল আইসিসি বোর্ডের কাছে এসব তথ্য জানাতে একটি গোপনীয় রিপোর্ট দেবে এবং আশা করা হচ্ছে যে বোর্ড প্রত্যেকের জন্য নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা চূড়ান্ত করবে।
আইসিসি আন্ডার নাইনটিন বিশ্বকাপ ২৭ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে। এই ইভেন্টে ১৬টি দেশ মোট ৪৮টি ম্যাচ খেলবে।