অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের বিষয়ে জানা নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বুধবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরো বলেন, এমনটি হতে পারে।
এর আগে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) অনুপ চেটিয়াকে হস্তান্তরের খবর জানায়।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, অনুপ্রবেশ, জাল পাসপোর্ট বহন এবং অবৈধভাবে বিদেশি অর্থ রাখার অভিযোগে ১৯৯৭ সালে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পরে তাঁর সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০০৩ সালে উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা অনুযায়ী চেটিয়াকে কারা হেফাজতে রাখা হয়। এরপর ২০০৫, ২০০৮ ও ২০১১ সালে তিনবার বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চান তিনি।
উলফার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অনুপ চেটিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনে ভারত। তাঁকে ফেরত পেতে বাংলাদেশের কাছে কয়েক দফা আবেদনও করে দেশটি। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় দীর্ঘদিন তা সম্ভব হয়নি। ২০১৩ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি হওয়ায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ হয়। অবশেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ এবং দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসএ) উপদেষ্টা অজিত দোভালের সক্রিয় প্রচেষ্টায় চেটিয়াকে ভারতে ফেরত নেওয়া হলো।
আমাদের কলকাতা সংবাদদাতা জানান, সকালে দুই সঙ্গীসহ অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। কয়েক দিন আগে ছোটা রাজনকে ইন্দোনেশিয়া থেকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়েছে মোদি সরকার। এরপর অনুপ চেটিয়াকে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে মোদি সরকারের মুকুটে আরেকটি পালক সংযোজিত হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।