আন্দোলনের নামে আর যেন ক্ষতি না হয় : প্রধানমন্ত্রী
সরকার পতনের নামে ও পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় মানুষ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা যেন আর না হয়, এমন আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৫ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু রাজধানী নয়, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের উদ্দেশে রাখা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁদের ধন্যবাদ দেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই খাতকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সরকারপ্রধান বলেন, দেশে চারটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৪৯টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর জন্য আট হাজার ৩৫৪ জন জনবল বাড়ানো হয়েছে। এই সংখ্যা আগামীতে ১৫ হাজারে উন্নীত করা হবে। এর মাধ্যমে এই খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এমন একটা জায়গায় যেখানে প্রতিনিয়ত দুর্যোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত যেহেতু নগরায়ন হচ্ছে, শিল্পায়ন হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে সে কারণে অগ্নিকাণ্ডসহ নানা ধরনের দুর্যোগের ঘটনাও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ এসব কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যদের কাজও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত প্যারেড প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানায়। এ ছাড়া নৌ, সড়ক ও অগ্নি-দুর্ঘটনা এবং ভূমিকম্পের সময় ফায়ার সার্ভিস কীভাবে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে তার মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতি ফায়ার সার্ভিস পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।