কারাগারে ঐশী, মুক্তি পাচ্ছেন দুই বন্ধু
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মেয়ে ঐশী রহমানের দুই বন্ধুই মুক্তি পাচ্ছেন। তাঁরা হলেন আসাদুজ্জামান জনি ও মিজানুর রহমান রনি। এর মধ্যে জনিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপর আসামি রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়ায় আইন অনুযায়ী এরই মধ্যে দুই বছর কারাভোগ করেছেন তিনি। ফলে রনিও মুক্তি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ ঐশীর রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
খুনের সময় ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে বাবা-মাকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী ফয়সাল ভূঁইয়া অনি জানান, জনি মামলার শুরু থেকে গ্রেপ্তার হওয়ায় প্রায় দুই বছর জেল খেটেছেন। তিনিও এখন মুক্তি পেয়ে যাবেন। রায়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট বলে তিনি জানিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে আরো দুজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের।
পরে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলায় অভিযোগপত্রের ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।