ফেরত আনা হলো নূর হোসেনকে
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নূর হোসেনকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মেজর লিয়াকত হোসেন নূর হোসনকে গ্রহণ করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকেই যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ একটি দল নূর হোসেনকে আনার জন্য বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রাতেই রওনা হয়ে গেছে।
আমাদের কলকাতা সংবাদদাতাকে পেট্রাপোল সীমান্তে দায়িত্বরত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় রাত ৯টায় দিল্লি থেকে জানানো হয়েছে, নূর হোসেনকে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে যেন সীমান্ত পথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।urgentPhoto
এদিকে দিল্লি থেকে এ নির্দেশনা আসার পর পেট্রাপোল সীমান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় বিএসএফ।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মহিদ উদ্দিন আরো জানিয়েছেন, ‘নূর হোসেন আমাদের কাছে আসলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করব।’ এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া হচ্ছে, যেকোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়ে যায়, তার মানে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেটি বিজ্ঞ আদালত গ্রহণ করেছেন এবং তার ভিত্তিতে পরোয়ানা ইস্যু হয় এবং সে পরোয়ানা তামিল করে বিজ্ঞ আদালতকে দেওয়া হবে।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন। ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরের দিন আরো একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার অজ্ঞাত পরিচয়দের আসামি করে এবং নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফসহ ১৮ র্যাব সদস্য এবং নূর হোসেনের সাত সহযোগী এখন কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন আরো ৯ আসামি।