চিকিৎসকসহ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ডিএনএ পরীক্ষাকারী চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ও মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান।
আজ মঙ্গলবাবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আজ সকালে ডিএনএ পরীক্ষাকারী চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান ও মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই আনিছুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির হন।
সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ তাঁদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুখ আহমেদ। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী মো. ফয়সাল ভূইয়া অনি বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। আরো ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে।’
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচারকাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।