নিজামীর আপিল শুনানি কাল পর্যন্ত মুলতবি
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
এদিন দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে এ শুনানি। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
নিজামীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান এবং রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ৩ নভেম্বর আপিল শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেঞ্চের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি উপস্থিত না থাকায় শুনানির দিন পেছানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। চারটি অভিযোগের মধ্যে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে নিজামীকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া চারটি অভিযোগের মধ্যে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার দায়ে তাঁকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বাকি আট অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে ওই সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন মতিউর রহমান নিজামী। ছয় হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।
এ ছাড়া গত ২৫ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর করা আবেদনের ভিত্তিতে তাঁর আইনজীবী আসাদ উদ্দিনকে হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সম্প্রতি ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে বাড়ি যাওয়ার পথে যমুনা সেতুর কাছ থেকে অ্যাডভোকেট আসাদকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডেও নেওয়া হয়।