নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা মুজাহিদের বাড়ি, শহর
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায় কার্যকরকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে তাঁর গ্রামের বাড়ি ও শহরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। গোটা শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা টহল দিচ্ছে।
এদিকে সরকারদলীয় নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন শক্তি আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ফরিদপুরে দাফন করতে না দেওয়ার ঘোষাণা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল এবং মুজাহিদের গ্রামের বাড়ি পশ্চিম খাবাসপুরসহ সব স্পর্শকাতর জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মুজাহিদের বাড়ি ঘিরে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। শহরের পূর্ব খাবাসপুরে মেইন রোড থেকে মুজাহিদের বাড়ির প্রবেশপথ আবদুল আলী সড়কের মুখে অর্ধশত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি মডেল থানার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে সন্ধ্যায় জানান, ‘আমরা শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে রেখেছি। নিরাপত্তার জন্য শহরে ১০ প্লাটুন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ ফাঁসি হোক আর না হোক আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছি।’
এদিকে সদর থানা আওয়ামী লীগ, শহর অওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আলী আহসান মুজাহিদের লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী জানান, ফরিদপুরের মাটিতে মুজাহিদের লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের মোবাইলে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী জানান, একজন কুখ্যাত রাজাকারের লাশ ফরিদপুরে দাফন করতে দিয়ে কলঙ্কিত করতে দেওয়া হবে না।
অপরদিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজও একইভাবে মুজাহিদের লাশ ফরিদপুরে আনা হলে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মুজাহিদসহ কোনো যুদ্ধাপরাধীর কবর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ফরিদপুরে হোক তা কেউ চাইবে না।