ফাঁসির আগে ২১ আগস্ট মামলা থেকে নিষ্কৃতি চান মুজাহিদ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। এ জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে মুজাহিদের পরিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
এ বিষেয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি আবেদন করা হবে বলেও মুজাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কারণ সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একমাত্র রাষ্ট্রপতি চাইলেই মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই জাহান বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ এখন শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় আলী আহসান মুজাহিদের বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে মামলাটিতে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
মুজাহিদের স্ত্রী জানান, গত ১৯ নভেম্বর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মুজাহিদ জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের রায়ের কপি এলে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে আইনি বিষয়ে লিখিতভাবে জানতে চাইবেন যে, ২১ আগস্ট মামলায় তার অবস্থান কি হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তামান্না-ই জাহান বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান থাকাবস্থায় যদি অন্য কোনো মামলায় কারো দণ্ড কার্যকর করা হলে সেটি হবে নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘন। যেহেতু আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাংবিধানিক অভিভাবক মনে করেন। তা ছাড়া রাষ্ট্রপতি নিজেই একজন আইনজীবী। তাই মুজাহিদের আইন ও সংবিধানিক অধিকার পেতে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। ওই মামলার এখন চূড়ান্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
এই কারণেই মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চাইবেন যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তাঁর অবস্থান কী হবে, বলেন তামান্না-ই জাহান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুজাহিদের ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর, আলী আহমেদ তাহকিক, মুজাহিদের বড় ভাই আলী আফজাল খালেছ, ছোট ভাই আলী আজগর আসলাম, তাঁদের আইনজীবী সাইফুর রহমান ও এস এম কামালউদ্দিন।