ব্লগার রাজীব হত্যায় সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে এ মামলায় শেষ তদন্ত কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র বর্মণের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল।
আজ সকালে তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুখ আহমেদসহ অন্য আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন।
জেরা শেষ হওয়ার পর বিচারক আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) এ মামলায় আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষার জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমানের সহকারী আইনজীবী ফয়সাল ভূইয়া অনি এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ আদালতে আসামিদের পক্ষে সাক্ষীদের ফের জেরা করার পর বিচারক আগামীকাল ৩৪২ ধারায় পরীক্ষার জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন। এর পরের তারিখেই এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হবে।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফিজ ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ও কারাগারে আটক।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন।