সরকারের ভয় পাওয়ার কী আছে, প্রশ্ন মঈন খানের
সরকার জাতীয় নির্বাচনের মতো আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনও একতরফা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
আজ বুধবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে ড. মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত প্রায় সাতজন মেয়র ইতোমধ্যেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন এবং প্রায় দেড়শ কাউন্সিলর ইতোমধ্যেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে, যেসব পৌরসভায় এই একতরফা নির্বাচনগুলো ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে নির্বাচনের আগেই, সেখানে কোনো বিরোধী দলকে নমিনেশন ফাইল পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি।’
‘এই নির্বাচনে তো সরকারের পরিবর্তন হবে না। তাহলে সরকারের এত ভয় পাওয়ার কী আছে? সরকার তো একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারে। সরকারের জন্য পজিটিভ হবে যদি তারা সত্যিকার অর্থে মানুষের মনটা জানতে চায় যে তারা সরকারের পক্ষে আছে, কি বিপক্ষে আছে এবং এটা একটা টেস্ট কেস সরকারের জন্য হতে পারে। আমাদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি সরকারের জন্য এই নির্বাচন’, যোগ করেন মঈন খান।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির পক্ষে আবদুল মঈন খান ছাড়াও ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্য নেতারা।
দেশজুড়ে পৌর নির্বাচনের প্রচার চলাকালে বিএনপির প্রার্থীদের কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে, মূলত সেসব বিষয় নিয়েই আজকের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠকে পৌর নির্বাচনের প্রচারে ‘সরকারি দলের আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ’ এবং নিজেদের ‘শঙ্কার কথা’ কূটনীতিকদের কাছে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।