ইউপি ভোটের প্রচারে থাকছেন মেয়র-চেয়ারম্যানরা
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারণায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়ররা অংশ নিতে পারবেন। তবে এ জন্য তাঁরা সরকারি সুবিধা নিতে পারবেন না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার এ তথ্য জানান।
শাহনেওয়াজ বলেছেন, ‘আজ আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করেছি। দুয়েক দিনের মধ্যে ভেটিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পৌরসভা নির্বাচনের আচরণবিধির আদলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছে।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পৌরসভা থেকে ইউপিতে যেগুলো পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হলো- পৌরসভায় যেমন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটারদের সমর্থন যুক্ত সই লাগতো, ইউপিতে এটা লাগবে না। এ ছাড়া নির্বাচনে হলফনামা ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) নম্বর দিতে হবে না।’
নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে শাহনেওয়াজ বলেন, ‘নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী ভোটগ্র হণের ২১ দিনের আগে প্রচারণায় কেউ অংশ নিতে পারবেন না। তবে নির্ধারিত দিনের পর প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতেও পারলেও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না।’
শাহনেওয়াজ বলেন, ‘তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সব প্রার্থী প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘আগে থেকে দলীয় প্রার্থীরা তাঁদের প্রতীক জানতে পারলেও, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তা জানতে পারবেন না। এজন আমরা বিধিতে এটুকু উল্লেখ রেখেছি।’
কমিশনার বলেন, ‘আচরণ বিধি ভেটিং হয়ে এলে আমরা তফসিলের দিনক্ষণ নির্ধারণ করব। সাড়ে চার হাজার ইউপি নির্বাচন কয়েকটি ধাপে করতে হবে। তা ছাড়া তফসিল ঘোষণার পর কতদিন রাখা হবে তাও বাস্তবতার নিরীখে ঠিক করা হবে।’
গত ১২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে সারা দেশে ইউপি নির্বাচন হবে। তবে এটি হবে শুধু চেয়ারম্যান পদে। এই নির্বাচন হবে কয়েকটি ধাপে এবং আগামী মার্চ মাসের শেষে নির্বাচন শুরু হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়। মেয়র পদে প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট দেয় সাধারণ মানুষ।