জুনিয়ররা উঠবে, তাই রুম ছাড়তে বলল ছাত্রলীগকর্মী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জুবায়ের টিপুকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জোবায়ের।
গতকাল রোববার গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ২৩৪ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের।
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগকর্মী ইশতিয়াক আহমেদের (প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ৪২তম ব্যাচ) নেতৃত্বে চার-পাঁচজন ছাত্রলীগকর্মী আমাকে ২৩৪ নম্বর রুম ছেড়ে দিয়ে ২২৭ নম্বর রুমে যেতে বলেন। এ জন্য তাঁরা একদিনের আলটিমেটাম দেন। পরে ব্যাপারটি হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি।’
জুবায়ের আরো অভিযোগ করেন, হল প্রভোস্টের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ওই রুম ত্যাগ না করায় এরপর গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগকর্মী ইশতিয়াক আবারও কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ দেন তাঁকে। তিনি কক্ষ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ইশতিয়াকের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগকর্মী এসে তাঁকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আধা ঘণ্টার মধ্যে রুম ছাড়ার নির্দেশ দেন। এ সময় তাঁরা জুবায়েরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং রুমের জিনিসপত্র তছনছ করেন।
জুবায়ের টিপু আরো বলেন, ‘তারা আমাকে আধা ঘণ্টার মধ্যে রুম ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হল প্রভোস্ট আলমগীর কবিরকে ফোন করি। তবে প্রভোস্টকে ফোনে না পেয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক গোলাম রব্বানীকে ব্যাপারটি জানাই।’
তবে লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগকর্মী ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘লাঞ্ছনার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। জুনিয়রদের ২৩৪ নম্বর রুমে সিট দেওয়া হবে বলে তাঁকে অন্য একটি রুমে ওঠার অনুরোধ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি হলের অভ্যন্তরীণ হওয়ায় এটি হল প্রশাসন দেখবে।’
হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাংস্কৃতিক জোট।