প্রসিকিউটর আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশেষ দূতের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গুরুতর পেশাগত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই চিঠি পাঠানো হয়।’
জেয়াদ আল-মালুম বলেন, আইনমন্ত্রী, আইনসচিব ও ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারকে এ চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চিঠিতে ‘পেশাগত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ কীভাবে হয়েছে তা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সূত্রে জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে আটক সংসদ সদস্য হান্নানের জামিনের বিনিময়ে ট্রাইব্যুনালের এক বিচারপতিকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী। পরে ওই বিচারপতি চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তবে এ বিষয়ে সরাসরি কেউ মিডিয়াতে কথা বলতে রাজি হননি।
পরে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু গত ৪ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ আলীকে ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে প্রত্যাহার করে অফিস আদেশ জারি করেন। আদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে ট্রাইব্যুনালের সব কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটর কর্তৃক এক অফিস আদেশে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আল বদর শামসুল হক গং এবং হোসেন তরফদার এবং অন্যান্য মামলার কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হলো। পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারধীন কোনো মামলা পরিচালনার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এখনো জাতীয় সংসদে আছি। কথা বলা যাচ্ছে না। তবে মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে এ ধরনের চিঠি এখনো হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’