তনু হত্যার প্রতিবাদে ৩ এপ্রিল ধর্মঘটের ডাক
কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৩ এপ্রিল সারা দেশে ধর্মঘট ডেকেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এদিকে শাহবাগে অবরোধের সময় পুলিশের লাঠিপেটায় ঢাবির ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগে অবরোধ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। এরপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কারওয়ারবাজারের দিকে এসেছে। এখান থেকে মিছিলটি ঢাবির টিএসসি চত্বরে গিয়ে একটি সমাবেশ করবে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ এপ্রিল সারা দেশে ধর্মঘট পালন করা হবে। সকাল-সন্ধ্যা এই ধর্মঘটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।’
ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সোহেল বলেন, ‘তনু হত্যার বিচারের অগ্রগতি এখনো দেখাতে পারেনি সরকার। সেনাবাহিনী থেকেও কোনো দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখানো হয়নি। তনুর হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার অবসান হওয়া প্রয়োজন।’
এদিকে শাহবাগে অবরোধের সময় শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে আশিকুল ইসলাম, মন্টু, কনক, রাহাতসহ ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তারা সবাই ঢাবির শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া শাহবাগে অবরোধের সময় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হারুনুর রশিদের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁর গাড়িতে নানা ধরনের লিফলেট লাগিয়ে দেওয়া হয়।
নটর ডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেয়। পৌনে ২টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর একপর্যায়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা। এতে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি কালভার্টের পাশে ঝোপঝাড়ে তনুর রক্তমাখা বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।