মানিকগঞ্জে আ.লীগের পরাজিত প্রার্থী গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে মানিকগঞ্জ শহরের দৌলতপুর কলোনির লুৎফর রহমানের (মাস্টার) বাসা থেকে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার হয়ে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ নম্বর পার রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বক্স ছিনতাইয়ের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের ওপর হামলার অভিযোগের মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণার সময় আনোয়ারের নেতৃত্বে ৩০০/৪০০ লোক ওই কেন্দ্রে হামলা করে। এ সময় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নির্মল কুমার দাস, আবদুল হামিদ, মাহমুদ উল্লাহ, আনোয়ার সরকার, সেলিম হোসেন ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলীকে মারধর করে হামলাকারীরা। ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে তারা।
খবর পেয়ে বিজিবি, র্যাব ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সেখানে এসে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত অবস্থায় পাঁচ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের এসআইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওসমান গণি দৌলতপুর থানায় আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০০/৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানান, ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান আনোয়ার। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। গত রাত ২টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। একযোগে ১৮২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোট গ্রহণ বিকেল ৪টায় শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে স্ব-স্ব কেন্দ্র থেকে ফল জেনে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে জয়ীদের অনেকে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের করেন। ওই খলসী ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত জাহাঙ্গীর সেনার কাছে পরাজিত হন আনোয়ার। এই ফল ঘোষণার সময় কেন্দ্রে হামলা করে আনোয়ার ও তার সমর্থকরা।