ইউপি নির্বাচনে দখলের মহোৎসব চলছে : মেনন
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘দুই দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে যেটা মনে হয়েছে, দখলের মহোৎসব চলছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কেন্দ্র দখল হচ্ছে একেবারে সবার চোখের সামনে।’
আজ রোববার শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।
রাশেদ খান মেনন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। তাঁর দল দেশে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নির্বাচনের অবস্থা এত খারাপ, প্রার্থীদের এত বাধা দেওয়া হয়েছে যে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এলাম।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যে, আমাদের প্রার্থীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, মেরে ভুট্টাক্ষেতে ফেলে রেখেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইসিকে বলেছি, উই উড লাইক টু কনটিনিউ। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই, যে এই পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের যদি আশ্বস্ত করতে না পারেন তবে এই কমিশনের প্রতি মানুষের কিন্তু এক বিন্দু আস্থা থাকবে না। এসব কথা আমরা সুস্পষ্ট করে কমিশনকে বলেছি। গতবারের চেয়ে এবার কারচুপি তেমন হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবার কথা বলবেন বলে সিইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।’
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘নির্বাচনে সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে, যে এখানে এত বিনিময় বাণিজ্য হচ্ছে যে টিকে থাকাটাই মুশকিলের ব্যাপার। তারপরও বলব এই নির্বাচন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হোক এটাই আমরা চাই। আশা করব, শেষ পর্যন্ত তাদের (ইসি) যে ক্ষমতা রয়েছে, তা প্রয়োগ করে এখন থেকে ভালো করবে।’
রাশেদ খান মেনন আরো বলেন, ‘যেমন বাতিল করেছেন রাঙ্গামাটিতে, বান্দরবানে নির্বাচন বাতিল করেছেন। বাগেরহাটে করেননি, সেখানেও কিন্তু বেশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই নির্বাচন কিন্তু আমাদের সংগ্রামের ফসল। বহু আন্দোলন করে এই নির্বাচন আমরা পেয়েছি। সেই নির্বাচন এবং তার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য সংগ্রাম করেছি। একবার না বহুবার, কখনো জিয়ার আমলে, এরশাদের আমলে, খালেদা জিয়ার আমলে আমরা বারবার লড়াই করেছি। এটা আমরা হারাতে দিতে রাজি না। দরকার হলে আবার লড়াই করব।’
ইসির পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘পদত্যাগ দাবি করলে তো হচ্ছে না। আমাদের কথা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন থাকবে। আজকে হোক, কালকে অন্য কেউ নির্বাচন কমিশনে আসবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।’
এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন।