নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার দিন ১১ এপ্রিল নির্ধারণ করেছেন আদালত।    

আজ সোমবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পালকে জেরা করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী খোকন সাহার করা জেরার মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই মামলার বাদী প্রধানের সাক্ষ্য গ্রহণ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ১২৭ জনের মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অন্যদের সাক্ষ্য পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি কাউন্সিলর  নূর হোসেন ও র‍্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুন মামলার প্রধান দুই আসামি নূর হোসেন ও তারেক সাঈদের পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলা বাতিল চেয়ে রিট আবেদন থাকায় আসামিপক্ষের আইনজীবী দুজন বাদীকে এর আগে জেরা করেনি। গত সপ্তাহে সেই রিট আবেদন উচ্চ আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল ছয়জন এবং পরদিন আরো একজনের মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়।