বেসিক ব্যাংকের জিএম গ্রেপ্তার
ঋণ জালিয়াতির মামলায় বেসিক ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জয়নাল আবেদীনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ঋণ জালিয়াতির মামলায় তাঁকে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করে দমন কমিশন (দুদক)। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক তাঁর রিমান্ড শুনানি আজ না করে আগামী ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে থেকে দুদক তদন্তদলের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ২৯ মার্চ মেসার্স এমারেল্ড ড্রেস লিমিটেডের সৈয়দ হাসিবুল গনি, এশিয়ান শিপিং বিডির প্রোপ্রাইটর মো. আকবর হোসেন, ফারশি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুন নবী চৌধুরী এবং বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইকরামুল বারীকে গ্রেপ্তার করে দুদক। বর্তমানে রিমান্ডে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রায় দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫৬টি মামলা করে কমিশন। ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল বলে মামলাগুলোর এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকসংলগ্ন সেনাকল্যাণ ভবনে অবস্থিত বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে এর বরখাস্তকৃত ডিএমডি মো. ফজলুস সোবহান ও মো. সেলিম এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও গুলশান শাখার প্রধান শিপার আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছিল দুদক।
তাদের দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ডেকে আনা হয়। পরে তাঁদের দুদক কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরই বেসিক ব্যাংক মামলার অন্য আসামিরা সতর্ক হয়ে যান।
এরপর বেসিক ব্যাংক মামলার আসামিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন এ লক্ষ্যে বিমান, স্থল ও নৌবন্দরগুলোকে সতর্ক করে দেয় দুদক।
২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর মামলার তদন্তে দুদকের উপপরিচালক মোরশেদ আলম, মো. ইব্রাহিম ও ঋত্বিক সাহা; সহকারী পরিচালক শামসুল আলম এবং উপসহকারী পরিচালক ফজলে হোসেন ও মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।