সিরাজগঞ্জে মিল্কভিটায় বিক্ষোভ
সিরাজগঞ্জে শাহজাদপুর মিল্কভিটায় তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মবিরতি, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে মিল্কভিটা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের সাথে ৪০ শতাংশ বর্ধিত বেতন পুনর্বহাল, চুক্তিতে কাজ করা চিঠিপ্রাপ্ত কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী পদোন্নতি প্রদান এবং মিল্কভিটা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মিল্কভিটা বাঘাবাড়ি দুগ্ধ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আমিনুল ইসলাম ও আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক বলেন, ‘আমরা মিল্কভিটার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিল্কভিটায় চাকরি করে মিল্কভিটার লভ্যাংশ থেকে বেতন পাই। সরকারি চাকরিজীবীদের মতো রেশন বা পেনশনসহ বাড়তি কোনো সুবিধাই পাই না। এ জন্যই আমরা বেতনের সঙ্গে ৪০ শতাংশ বাড়তি বেতন গত ২০০০ সাল থেকেই গ্রহণ করছি। কিন্তু বর্তমানে প্রেষণে আসা সরকারি কিছু কর্মকর্তার অপতৎপরতার কারণে আমাদের এই বর্ধিত বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরো কিছু অনিয়ম করা হচ্ছে- যার প্রতিবাদেই আমাদের এই আন্দোলন।’
মিল্কভিটা প্রাঙ্গণে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন মিল্কভিটা বাঘাবাড়ি ঘাট পয়েন্টের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খ ম আমিনুল ইসলাম, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আবু মোহাম্মদ শরিফুল হক, ব্যবস্থাপক (সমিতি) ইদ্রিস আলী, প্রকৌশলী আল ইমরান, নিরাপত্তা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, মিল্কভিটা সিবিএ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মহিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়ানুর ইসলাম, কার্যকরী সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষের অধীন উত্তরাঞ্চলের প্রধান বাঘাবাড়ি ঘাট কারখানাসহ ১৫টি দুগ্ধ ক্রয় ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে ৯ এপ্রিল থেকে সারাদেশে মিল্কভিটার সব কারখানার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।