সিআইডির উচ্চ পর্যায়ের দল কুমিল্লায়
ভিক্টোরিয়ার কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার তদন্ত কাজে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উচ্চ পর্যায়ের একটি দল কুমিল্লায় অবস্থান করছে। সিআইডির ঢাকার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দের নেতৃত্বাধীন দলটি তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লায় এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সিআইডির ওই দল কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে এসে বৈঠক করে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তারা কুমিল্লা সেনানিবাসের পাঁচ করপোরাল ও সেনা সদস্যকে সিআইডি অফিসে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সিআইডি সূত্রে জানা যায়, আগামী সপ্তাহের মধ্যে তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এরপর মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি হতে পারে।
গত শনি ও রোববার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এ দলটি সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এ সময় এ দল তনুর মা- বাবা, কুমিল্লা সেনানিবাসের দুই সার্জেন্ট, এক ওয়ারেন্ট অফিসার, এক জন করপোরাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) একজন চিকিৎসক, নার্স ও একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পাশের একটি জঙ্গলে কলেজ ছাত্রী তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর দিন তার বাবা ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ থেকে ২৫ মার্চ রাতে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবিতে) হস্তান্তরের পর আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর লাশ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু গত ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নাতন্দের রিপোর্টে ধর্ষণ ও হত্যার স্পষ্ট আলামত নেই মর্মে রিপোর্ট দাখিল করা হয়।