নাজিমুদ্দিন হত্যার দায় স্বীকার ‘আল-কায়েদার’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ‘আনসার আল ইসলাম’। এটি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটে কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা যুক্তরাষ্ট্রের সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার সূত্রাপুরের একরামপুর মোড়ে নাজিমুদ্দিন সামাদকে (২৬) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পর মাথায় গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে সূত্রাপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নুরুল আমিন বলেন, সন্ধ্যায় ক্লাস বাড়ি ফেরার পথে তিন চারজন ব্যক্তি নাজিমুদ্দিনকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে গুলিও করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
নাজিমুদ্দিনকে নিয়ে গত ১৪ মাসে ঢাকায় ছয় লেখক ও প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ধর্মীয় নেতাদের কটাক্ষ করার কোনো অধিকার এই দেশে নেই। তিনি আরে বলেন, ‘তাঁরা কেন ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমন ভাষা ব্যবহার করছে?, এমন ভাষা ব্যবহার আমাদের দেশের আইনের পরিপন্থী। নবী মোহাম্মদ (স.), গুরু নানক অথবা যিশুখ্রিস্ট কোনো ধর্মীয় নেতাকেই কটাক্ষ করার অধিকার কারো নেই।’
গণজাগরমঞ্চের মুখপাত্র এমরান এইচ সরকার বলেন, ‘মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধ, সংখ্যালঘু বিষয়, দুর্নীতি এবং নারীর প্রতি অবিচারের সোচ্চার ছিলেন নাজিমুদ্দিন সামাদ। নিজের দৃষ্টিভঙ্গির কথা ফেসবুকে জানাতেন নাজিমুদ্দিন। ’