এবার হজে মুসল্লির সংখ্যা কমছে
সৌদি আরবের সরকার বাংলাদেশ থেকে সম্ভাব্য হজযাত্রীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি জানান, নির্ধারিত সংখ্যা থেকে এবার ১২ হাজার ১১০ জন মুসল্লির হজে যাওয়া হবে না।
আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সচিব এসব কথা বলেন। এদিন জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজ সংশোধনীর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
শফিউল আলম জানান, আগে অনুমোদিত সংখ্যা ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন। এবার সেখান থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমিয়ে করা হয়েছে এক লাখ এক হাজার।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, সৌদি আরব হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশকেও জানুয়ারি মাসে নেওয়া নীতি সংশোধন করতে হচ্ছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার, এবার করা হয়েছে ১০ হাজার। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছিল এক লাখ আট হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে পারবেন ৯১ হাজার ৭৫৮ জন।
আইডিবিতে কোরবানির টাকা
সৌদি আরবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের কোরবানির টাকা এজেন্সির কাছে জমা না দিয়ে দেশটির ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মাধ্যমে জমা দিতে হবে। প্রতারণা ও ঘাপলা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আইডিবির মাধ্যমে টাকা কেন জমা দিতে হবে তা জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কোরবানির বিষয়ে সৌদি আরব সরকার কিছু ঘাপলা পেয়েছে। সম্ভবত হজ এজেন্সিগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির টাকা নিয়ে কোরবানি দেয় না। টাকাটা আত্মসাৎ করে। এই প্রতারণা ঠেকাতেই এ বছর আইডিবির মাধ্যমে টাকা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরবের সরকার।
অনলাইনে টাকা জমা
এ ছাড়া এ বছর হজযাত্রীর সব টাকা অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। হজ এজেন্সিগুলোর প্রতারণা ঠেকাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওয়াটার কুলার
প্রচণ্ড গরমে গত বছর আরাফাতের ময়দানে বহু লোক মারা যাওয়ার কারণে এ বছর ময়দানের তাঁবুগুলোর জন্য ওয়াটার কুলারের ব্যবস্থা করছে সৌদি সরকার। এ জন্য ১৫০ রিয়াল (তিন হাজার টাকা) অতিরিক্ত দিতে হবে হজযাত্রীদের।
এ ছাড়া আজকের বৈঠকে ২০১৬ সালের প্রথম তিন মাসে মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার সন্তোষজনক বলে মত দিয়েছেন মন্ত্রীরা।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর হজের সময় সৌদি আরবের মক্কায় ক্রেন পড়ে শতাধিক মুসল্লির প্রাণহানি হয়।