প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এ ধরনের বক্তব্যের জন্য তিনি ইমরান এইচ সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।   

আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় করা একটি মামলায় গতকাল শনিবার সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গতকাল সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে আদালতে হাজির করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে গণজাগরণ মঞ্চের মুখমাত্র ইমরান এইচ সরকার লিখেন, ‘শফিক রেহমানের রাজনৈতিক আদর্শের সাথে আমি একমত নই। ভিন্নমতের হলেই তাকে দমন করার যে নোংরা রাজনৈতিক অপকৌশল, এর একটা অবসান চাই।’

ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আমাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমানের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা উদ্ঘাটন করেছে। তারা এ বিষয়ে প্রমাণাদি আমাদের সরকারের কাছে দিয়েছে। তাকে এই প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু প্রকাশ করতে পারছি না, কিন্তু এই প্রমাণ দ্ব্যর্থহীন এবং অখণ্ডনীয়।’

এর পরই সজীব ওয়াজেদ জয় লেখেন, ‘আমি আশাই করেছিলাম, বিএনপি এটা নিয়ে মিথ্যা বলার চেষ্টা করবে। যদিও, আমি আশ্চর্য্য হয়েছি ইমরান সরকারের বিষয়ে। সম্ভবত শেষ পর্যন্ত তার আসল চেহারাটা উন্মোচিত হলো। এটা দেখে মনে হচ্ছে, সে আমাদের বেশিরভাগ সুশীলের মতই, আরেকটা সুবিধাবাদী এবং মিথ্যাবাদী। হয়তো বিএনপি তাকে পয়সা দিয়েছে। কে জানে। যেভাবেই হোক, আমি তার প্রতি সব শ্রদ্ধা হারিয়েছি। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে আমাদের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা তাঁর সব বন্ধু এবং ভক্তদের কাছে আহ্বান জানান, ‘যারা তাকে (ইমরান এইচ সরকার) অনুসরণ করেন তারা তাকে ফেসবুক থেকে আনফলো/আনফ্রেন্ড করুন। সে একজন অপরাধীর হয়ে কথা বলছে যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো।’