বিএনপি নেতার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাফাদি যা বললেন
ইসরায়েলের রাজনীতিক মেনদি এন সাফাদি স্বীকার করেছেন যে ভারতে তাঁর সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেখা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, আসলামের সঙ্গে কোনো গোপন বিষয়ে কথা হয়নি তাঁর।
সাফাদি বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি, সেখানে সংখ্যালঘুদের অবস্থা এগুলো সবাই জানেন। আমরা দুজনে সে সব নিয়েই কথা বলেছি, তাও সেটা একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে। আমরা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করছিলাম বা সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছিলাম এর চেয়ে হাস্যকর কিছু হতেই পারে না।’
মেনদি এন সাফাদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে আজ সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।
সাফাদি বলেন, ‘সরকার ফেলার চক্রান্ত একটা প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে করা হচ্ছে। তারপর আবার চক্রান্তকারীরা হাসিমুখে তাঁদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, এ জিনিস কোথাও আবার হয় না কি?’
সাফাদি জানান, আগ্রার যে অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর সম্প্রতি দেখা হয়েছিল তাতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির যুব শাখা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আসলাম চৌধুরীও সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। দুজনের আগে থেকে কোনো পরিচয়ও ছিল না। একই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুই অতিথি হিসেবে তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক আলাপ হয়েছিল মাত্র।
সাফাদি জানান, আসলাম চৌধুরী তাঁর দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছেন বলেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে তার ধারণা।
বাংলাদেশে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে সাফাদিকে মোসাদের গুপ্তচর বলে চিহ্নিত করছে ওই বিষয়ে সাফাদি পুরোপুরি অবহিত বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সাফাদি বলেন, ‘আমাকে এমন একজন গুপ্তচর দেখান যিনি ঘণ্টায় ঘণ্টায় তার গতিবিধি ফেসবুকে পোস্ট করেন, সেমিনারে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান। সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়ান। এর পরও কেউ আমাকে যদি গুপ্তচর মনে করেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’
সাফাদি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়টি তাঁকে বিচলিত করে। তিনি বলেন, ‘আমি সারা পৃথিবীতেই সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কথা বলি, তাদের জন্য লড়ি। বাংলাদেশও তার কোনো ব্যতিক্রম নয়।’
আসলামকে গতকাল রোববার ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে।