জঙ্গি রোহানও নিহত, দাবি বাবার
ছয় মাস আগে থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না রোহান ইবনে ইমতিয়াজকে। গত শুক্রবার গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার পর প্রকাশিত হয় পাঁচ জঙ্গির ছবি। রোহানের বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল প্রথমে প্রকাশিত ছবি দেখে নিশ্চিত হন ছেলের ব্যাপারে।
এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমতিয়াজ খান বাবুল দাবি করেন, ‘গতকাল (রোববার) পুলিশের পক্ষ থেকে আমার পরিবারকে জানানো হয়েছে, আমার ছেলে রোহানের মৃতদের তাদের কাছে আছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে মৃতদেহ দেওয়া হবে।’
পুলিশের প্রকাশ করা ছবির মধ্যে তো রোহান নেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, বাবুল বলেন, ‘এই প্রশ্নটি আমার ছোট ভাইও করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে ওর ফেস নেই। তাই ছবি দেওয়া হয়নি।’
এর আগে গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলাকারী সন্ত্রাসীর সংখ্যা ও তাদের ছবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গতকালই। সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, হামলাকারীদের লাশের ছবিতে রোহান ইমতিয়াজের ছবি নেই। সেই ছবিতে রয়েছে রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদারের মরদেহ।
সাইফুলের স্বজনদের দাবি, সাইফুল ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। তিনি সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত নন।
রোহান ইমতিয়াজের বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল সদ্য বিলুপ্ত অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপমহাসচিব।
ইমতিয়াজ এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে রোহান নিখোঁজ। এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় বলে তিনি জানান।
রোহানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফকেও অবহিত করা হয় বলে জানান তিনি। শেখ মারুফ ওই অভিযানে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হলি আর্টিজানে ঢুকে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন শনিবার করা অভিযানের পর ওই রেস্তোরাঁ থেকে ছয়জন জঙ্গির লাশ উদ্ধার করে বলে দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় ২০ জনের মরদেহ।
অভিযান শুরুর আগেই হামলাকারী পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করে আইএসের কথিত মুখপাত্র আমাক। সেখানেই প্রকাশিত হয় রোহানের ছবি।