‘লাশ নিয়েও যেন রাজনীতি না হয়’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের দণ্ড কার্যকরের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তাঁর বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে তিনি এ কথা বলেন।
লাশ হস্তান্তর করা হলে পরিবারের সদস্যরা শেরপুরে যাবেন বলে জানান ওয়ামি। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, আমার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর লাশটি যেন আমাদের গ্রহণ করতে দেওয়া হয়। আমরা শুনেছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে নিজেরাই শেরপুরে নিয়ে যেতে পারে। আমি আশা করি, আমার পিতার লাশ নিয়েও যেন কোনো রাজনীতি করা না হয়।’
ওয়ামি জানান, দলের (জামায়াতে ইসলামী) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লাশ তাঁদের কাছে হস্তান্তর না করা হলে কামারুজ্জামানের স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে কেউ শেরপুরে যাবেন না। সেখানে কামারুজ্জামানের বড় ও ছোট ভাই পরিবারের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করবে।
আজ বিকেল ৪টা ০৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা কারাগারে প্রবেশ করেন। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থানের পর ৫টা ২০ মিনিটে বেরিয়ে আসেন কামারুজ্জামানের পরিবারের ২১ সদস্য। এর মধ্যে রয়েছেন কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার, বড় ভাই, বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি, ছোট ছেলে হাসান ইমাম ওয়াফি, মেয়ে আতিয়া নূর।
আজ শনিবার দুপুরে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর পরিবারকে চিঠি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তাঁদের কারাগারে যেতে বলা হয়। কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানান।
এর আগে আজ দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছেছে। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ও ডেপুটি জেল সুপার লাভলু নির্বাহী আদেশটি গ্রহণ করেন। পরে আদেশটি কামারুজ্জামানকে আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ে শোনানো হয়।