কঠোর নিরাপত্তায় কামারুজ্জামানকে দাফনের প্রস্তুতি
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে শেরপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। আজ শনিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়। পরে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে কামারুজ্জামানের লাশবাহী গাড়ি শেরপুরের পথে রওনা হয়।
শেরপুর সদর উপজেলার কুমরী বাজিতখিলা মুদিপাড়ায় কামারুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত বাজিতখিলা এতিমখানা মাদ্রাসার পাশেই শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার রাত ১২টার দিকে বাজিতখিলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কামারুজ্জামানের গ্রামের বাড়ির আশপাশে কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। তখন প্রচন্ড বৃষ্টিও হচ্ছিল।
বাজিতখিলা এলাকা রয়েছে এখন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। সন্ধ্যার কিছু পরেই বাজিতখিলা বাজার এলাকায় সকল দোকাপনপাট বন্ধ হয়ে যায়। বাজারে লোকজন কমে আসে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মেহেদুল করিম এনটিভি অনলাইনকে জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
কামারুজ্জামানের লাশ রাতে সড়ক পথে শেরপুরে আসবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কাজ করবে বলে জানান এসপি।
এদিকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধারা কামারুজ্জামানকে শেরপুরে দাফন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পর তারা দাফন প্রতিহত করার পরিবর্তে আনন্দ-মিছিল করার ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন বলেন, ‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল শুরুতে কামারুজ্জামানকে শেরপুরে দাফন করার ক্ষেত্রে প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেও আমাদের অনুরোধে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’