সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ও মদদদাতারা চিহ্নিত
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িতদের এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এ ব্যাপারে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগুন-সন্ত্রাস করে যারা সরকারকে পর্যুদস্ত করতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারাই টার্গেট কিলিং করছে। তবে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এগুলো মোকাবিলা করে ওভারকাম করে চলছে।
গুলশানে হত্যাকাণ্ডের পর একটি বৃহৎ রাষ্ট্র সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জানতে চান যে এই রাষ্ট্র কী যুক্তরাষ্ট্র?
এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকা সৈন্য পাঠাতে চায়নি। তবে নিশা দেশাই বিসওয়াল কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তথ্য আদান-প্রদানসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কয়েকটি ক্ষেত্রে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সরকার এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে। এরপরই বলা সম্ভব হবে যে আমেরিকার কতটুকু সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রয়োজন। নিজেদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তারপর সহযোগিতা চাওয়া হবে।’
গুলশান হামলার আগে বিজিবি যে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছিল, এখন আবার তা চলবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অভিযান সব সময়ই চলে। কখনো ঘোষণা দিয়ে চলে কখনো ঘোষণা ছাড়াই চলে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো সময় অভিযান চালাতে পারে।
‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ওসি সালাউদ্দিন গিয়েছিল’
ওসি সালাহউদ্দিন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হওয়ার পরও ঘটনার সময় কেন গুলশানে গিয়েছিলেন সে প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে বলে মন্ত্রীকে জানালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ইঙ্গিত সরকারের কাছে সব সময়ই ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও ওভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই ওসি সালাউদ্দিন বনানী থেকে গুলশানে গিয়েছিল। গুলশানে তাঁর বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করছে জাতি। কেবল কিছু কিছু লোক এটার সমালোচনা করছে।
তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে সরকারের মন্তব্য জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তুরস্কের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে সব ধরনের হামলা ও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই আমরা।
ফ্রান্সের হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা একটা গ্লোবাল থ্রেট। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে এখন কোনো দেশই নিরাপদ নয়। এসব হামলা সবাইকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করা উচিত।