ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে সতর্কবার্তা
বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে সতর্ক থাকতে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার এক ইমেইলের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে এই বার্তা পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাহুল আফজাল।
ইমেইল বার্তায় দেখা যায়, ড. তারেম আহমেদ নামের একজন শিক্ষক বার্তাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠিয়েছেন। তারেম আহমেদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক।
তারেম আহমেদ লিখেছেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার কিছু ড্রাইভার সন্দেহজনক আচরণ করছেন বলে সম্প্রতি আমি কয়েকটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমার এক বন্ধু শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সম্ভবত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা সিএনজি ড্রাইভারের ছদ্মবেশে বের হয়েছে। আমার মনে হয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সদস্যদের এ বিষয়ে যথাযথভাবে সতর্ক করা দরকার।’
ড. তারেম আহমেদের এই বার্তাই ফরোয়ার্ড করেছেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাহুল আফজাল। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিফোন অপারেটরও রেজিস্ট্রারের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
আজ বিকেল পর্যন্ত ইমেইলের বিষয়ে কিছুই জানতেন না ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। বিকেলে এনটিভি অনলাইনের ফোন পেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন তিনি। সারাদিন ব্যস্ততার কারণে ইমেইল দেখার সুযোগ পাননি বলে জানান আইনুন নিশাত। তবে সেই সময় তাঁর সামনে উপস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ইমেইলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
আইনুন নিশাত জানান, তিনি নিজে ইমেইলটি এখনো দেখেননি, তবে অন্য ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা জানিয়েছেন যে, রেজিস্ট্রার এ রকম একটি মেইল পাঠিয়েছেন। সেটিও আরেকজন ফ্যাকাল্টি মেম্বারের পাঠানো মেইল যা তিনি ফরোয়ার্ড করেছেন।
এই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠানোর মতো কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি বা অভিযোগ পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বলেন, ‘রেজিস্ট্রার সাহেব যেহেতু পাঠিয়েছেন ডেফিনেটলি এটার পেছনে কোনো কারণ আছে।’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ব্রিটিশ কাউন্সিলের আশপাশে সিএনজিচালকদের বিষয়ে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।